নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চাঁদার দাবী ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. মো. বাছির উদ্দীন (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বুড়িচং থানাধীন সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের শাহাজান পুলিশের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপরে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাছির উদ্দীনের পিতা: মো. ফিরোমিয়া (৬২) বাদী হয়ে জগতপুর গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে মো. সাগর (২১) গংসহ ৭জনকে এজাহার নামীয় এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে অভিযুক্ত করে গত ১ নভেম্বর রাতে বুড়িচং থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
দায়ের করা এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়- পূর্ণমতি গ্রামের অধিবাসী মো. সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. বাছির উদ্দীন (২১) দীর্ঘদিন যাবত পূর্ণমতি উত্তর বাজার মসজিদ গেইট সংলগ্ন স্থানে মেসার্স বাছির ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক ও পরিচালনাকারী হিসেবে নিয়োজিত থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে পার্শ্ববর্তী জগতপুর গ্রামের অধিবাসী মো. সাগর গং রা এসে ১ লক্ষ টাকা চঁাদা দাবী করে।
বিষয়টি বাছির উদ্দীনের অভিভাবক কর্তৃক প্রতিপক্ষকের অভিভাবকদের জানানো হলে উল্টো সকল প্রতিপক্ষগণ একজোট হয়ে তার ব্যবসা বন্ধ ও তাকে প্রাণ নাশের ধমকি প্রদানসহ করে আসছে। ইতোমধ্যে মো. বাছির উদ্দীনের সাথে প্রতিপক্ষ কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এরই সূত্র ধরে গত ১ নভেম্বর সকাল ১০ টায় বাছির উদ্দীন তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হতে বিশেষ প্রয়োজনে নিজ গ্রামস্থ আ: বারী মাস্টারের বাড়ি যায়।
সেখান থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ফেরার পথে ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে প্রতিপক্ষগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ও পূর্ব আক্রোশে বাছিরের গতিবিধি লক্ষ্য রাখিয়া তাদের হাতে থাকা দা ছেনি ও হকিস্টিক নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে পথ গতিরোধ করে। তখন তারা তার কাছে ১লক্ষ টাকা দিবে কিনা জানতে চায়। বাছির এর প্রতিবাদ করলে প্রতিপক্ষরা তার মাথা, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক লিলা ফুলা জখম করে।
এ সময় সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে এবং বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তার সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও অপপো মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে প্রান নাশের হুমকি ধমকি নিয়ে চলে যায়।
প্রথমে তাকে চিকিৎসার জন্য বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।